কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনায় টেকনাফ মডেল থানার ওসি (সদ্য প্রত্যাহার) প্রদীপ কুমার দাশ ও টেকনাফ বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের আইসি পুলিশ পরিদর্শক মো. লিয়াকতসহ সব আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে তাদের আত্মসমর্পণের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন এই আদেশ দেন।
প্রদীপকে নিয়ে পুলিশ চট্টগ্রামে থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে কক্সবাজারের বিচারিক হাকিম আদালত প্রাঙ্গণে পৌঁছায়। তার আগেই বিকাল পৌনে ৪ টার দিকে পরিদর্শক লিয়াকতসহ বাকি সাতজনকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।
আসামি পুলিশ সদস্যদের আদালতে হাজির করার আগে পুরো এলাকায় নেয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তা। সাংবাদিকদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক উৎসুক জনতা ওই নিরাপত্তার মধ্যেও আদালত প্রাঙ্গণে ভিড় করেন।
সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের হস্তান্তর করা হবে র্যাবের হাতে। র্যাবকেই এ মামলার তদন্তভার দিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় তার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস যে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন, তাতে লিয়াকতকে ১ নম্বর এবং প্রদীপকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে।