সেবা নিতে আশা রোগী রোকেয়া, শাহিদা, নাজমা ও নাছিমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার কথা থাকলেও টাকা ছাড়া সেবা মেলে না। ক্লিনিকটি যথাসময়ে খোলা থাকে না এবং রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। এর ফলে ওই কমিউিনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা সর্বস্তরের রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
তারা আরো বলেন, সিএইচসিপি রতœা খাতুন সকাল ১০টার আগে ক্লিনিকে আসেন না। আসার পর ২-১ ঘণ্টার ভিতর তার চেম্বার বন্ধ করে ক্লিনিকটির প্রধান দরজা খোলা রেখে বের হয়ে যান। পরে একজন মহিলা (ক্লিনার) প্রধান দরজায় তালা লাগিয়ে চলে যায়।
সরকারী বরাদ্দকৃত ঔষুধ সাধারণ রোগীদের না দিয়ে নাম মাত্র রেজিস্ট্রারে ভুয়া নাম ব্যবহার করে দরিদ্রদের ঔধুষ কালোবাজারে বিক্রিরও অভিযোগ রয়েছে সিএইচসিপি রত্নার খাতুনের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও কাজিপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সভাপতি আবু বক্কর রকিবুল ইসলাম বলেন, আমি সাংবাদিকদের ফোনে এখানে এসেছি। এসে দেখতে পায় সিএইচসিপি রতœা খাতুন বাইরে বসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছে। তিনি আরো বলেন, এর আগে সিএইচসিপি রত্না খাতুনের বিরুদ্ধে ক্লিনিকে আগত রোগীদের কাছ থেকে সরকারি ঔষধের বিনিময়ে অর্থ আদায়সহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে আমি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দেবো।
স্থানীয় আর এক ব্যাক্তি জানান, তাকে ক্লিনিকে গেলে পাওয়া যায় না। ফোন করে আনতে হয়। স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি জানান, তার কাছে ঔষধ চাইলে তিনি বলেন এখন নাই পরে আসুন।
অভিযুক্ত কাজিপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি রত্না খাতুন বলেন, আমি পাশের বাড়িতে গিয়েছিলাম আমার নিজের ব্যক্তিগত কাজে। তিনি আরো বলেন, আমি সকাল থেকে প্রায় ১শ রোগী দেখেছি এবং ঔষধ দিয়েছি। যথাসময়ে খোলা থাকে না এবং রোগীদের সাথে দুর্ব্যবহার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এরিয়ে যান।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ মো. জাহিদুল ইসলাম হীরা জানান, প্রতিদিন নিয়মিত সময়ে ক্লিনিক সকাল ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকার কথা। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় রোগীদের দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু ওই ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচসিপি দায়িত্ব ও কর্তব্য অবহেলার করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিএইচসিপি রত্না খাতুনের বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।