শাহিন রেজা: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নে বয়স্ক,বিধবা স্বামী পরিত্যক্ত ও প্রতিবন্ধী ভাতা বইর কার্ড প্রদানে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
অর্থের বিনিময়ে ভাতা বইরের কার্ড প্রদানের অভিযোগ পাঙ্গাসী ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য ফুলমতি বেগম ও তার স্বামী হালিম তালুকদারের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬নং ওর্য়াডে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়,পাঙ্গাসী ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য ফুলমতি বেগম ও তার স্বামী হালিম তালুকদার সংশ্লিষ্ট ওযার্ডের বিভিন্ন গ্রামের অসহায়, দুস্থদের থেকে বয়স্ক, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্ত ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে ৫-৬ হাজার টাকা করে আদায় করেছেন।
যারা টাকা দিতে পারেননি তাদের ভাতা বইয়ের কার্ড মেলেনি। আবার অনেকের কাছে টাকা নেয়ার পরও ভাতা বইয়ের কার্ড না দিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে। এমনকি টাকা ফেরত চাইলে অসহায়দের দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের হুমকিও।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী জানান, তারা শতাধিক ব্যক্তির কাছে টাকা নিলে এ পর্যন্ত মাত্র প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ ভুক্তভোগী ভাতা বইয়ের কার্ড পেয়েছেন। বাকিরা এখনও কার্ড পাননি। টাকাও ফেরত পাননি। এদিকে ওই ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদসহ অনেকেই এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রতিকার দাবি করেন।
এ বিষয়ে পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য ফুলমতি বেগম বলেন,বয়স্ক ভাতার নামে আমি কারো থেকে কোন টাকা নেয়নি।আমার স্বামী নিয়েছে।এ ব্যপারে আমি কিছু বলতে পারবো না।
তার স্বামী হালিম তালুকদার বলেন,বয়স্ক ভাতা করে দেওয়া জন্য আমি অনেকের কাছে থেকেই টাকা নিয়েছি।কাউকে কার্ড করে দিয়েছি কাউকে করে দিতে পারিনি। এতে আমার দোষের কিছু নেই।
পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নান্নু বলেন,দীর্ঘ দুই মাস হলো আমি অসুস্থ থাকায় এধরণের কোন ঘটনা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৃপ্ত কণা মন্ডল বলেন,ভাতার কার্ড করে দেওয়ার নামে কোন ইউপি সদস্য টাকা গ্রহণ করতে পারবে না। এ ধরনের কোন ঘটনার অভিযোগ পেলে অবশ্যয় তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।