নির্মানাধীন মার্কেটে চাদা দাবী ও প্রাণনাশের হুমকি
দেশীগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা সুজন ও তার পিতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় দেশীগ্রাম ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক সুজন মাহমুদ ও তার পিতা আকতার আলীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুর ভোগ দখলীয় সম্পত্তি জোর পূর্বক দখলে নেয়ার জন্য নানাভাবে হুমকী ধামকি ও চাদা দাবীর অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, তাড়াশ উপজেলার বড় মাঝদক্ষিণা ধলিশ^র গ্রামের মৃত জতিন্দ্রনাথ ভৌমিক এর পুত্র শ্রী নব ভৌমিক ধুলিশ^র বাজারে নিজের ক্রয়কৃত ৪০ শতাংশ সম্পত্তি যার দলিল নং ২৪২৫, মৌজা; ধুলিশ^র, খতিয়ান নং ১৮৬, দাগ নং আরএস ১১৪৩। উক্ত ভোগ দখলীয় সম্পত্তিতে মার্কেট নির্মানের জন্য কাজ শুরু করেন এবং মার্কেটের ফাউন্ডেশন ও পিলারের কাজ প্রায় সম্পন্ন এমন পরিস্থিতে গত ২৮ মে রবিবার সকাল ১১টায় দেশীগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সুজন মাহমুদ নির্মানাধীন মার্কেটে এসে কাজ বন্ধ করতে বলে। এরপর সুজন মাহমুদ এর পিতা আকতার আলী ঘটনাস্থলে পৌছলে সুজন মাহমুদ আরো উত্তেজিত হয়ে কাজ বন্ধ না করলে সমস্যা হবে, কেউই হাত-পা নিয়ে বাসায় ফিরতে পারবে না বলে হুমকী-ধামকি দেয়া শুরু করে। পরে সুজন মাহমুদ এর পিতা আকতার আলী শ্রী নব ভৌমিককে সংখ্যা লঘু, মালু এবং অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে। এছাড়া লোহার রড দিয়ে মারতে উদগ্রীব হয়।
অভিযোগে আরো জানা যায়, দেশীগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সুজন মাহমুদ নির্মানাধীন মার্কেটের একটি ঘর দাবী করে, ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পরিচয় দিয়ে বলে, ঘর না দিলে এখানে মার্কেট করতে দিব না। নির্মানাধীন মার্কেটের মালিক নব ভৌমিক ঘর দিতে অস্বিকার করলে ২ লক্ষ টাকা চাদা দাবী করে অন্যথায় মেরে ফেলার হুমকী দেয়।
এ বিষয়ে থানায় অভিযোগকারী নব ভৌমিক জানান, রবিবার আমার নির্মানাধীন মার্কেটে এসে সুজন মাহমুদ ও তার বাবা একটি ঘর দাবী করে, দিতে না চাইলে ২লক্ষ টাকা চাদা দাবী করে এবং মেরে ফেলার হুমকী দেয়। দেশীগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এমপির নাতি পরিচয় দিয়ে আমাদের ভয়-ভীতে দেখায়। এই পরিস্থিতিতে আমি এবং আমার পরিবার অত্যন্ত ভীতিকর পরিবেশের মধ্যে বসবাস করছি। যেকোনো সময় বিবাদীরা আমার এবং আমার পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা করতে পারে।
দেশীগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সুজন মাহমুদ কে (০১৭২৪২৮৮৪২৪) বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
থানায় অভিযোগ দাখিলের বিষয়ে ৩ নং ধলিশ^র গ্রামের ইউপি সদস্য সাদ্দাম হোসেন জানান, ঘটনার ব্যাপারে আমি শুনেছি। তদন্ত করলে যেটা সত্য আমি সেটাই বলব।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব খোকা জানান, বিষয়টি আমি অবগত না, আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম, সত্যতা থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বাদী নব ভৌমিক এর সাথে কথা বলে যাচাই করে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।