মানববন্ধনে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ডা. মাহবুবা রহমান, ডা. ফাতেমা, ডা. তানভীর ও ডা. জুনায়েদ বলেন, কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগতরা বেপরোয়া যাতায়াত করে ছাত্রীদের ইভটিজিং করছে। তারা ক্যাম্পাসে মাদকসেবন করছে। এখন এমন পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে এই কলেজ এখন আর পড়ালেখার জায়গা নয়। এটা একটা টুরিস্ট স্পট, এখানে আলতু-ফালতু ছেলেরা আসে। তারা এখানে টিকটক করতে আসে, গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ঘুরতে আসে। আমরা রাস্তায় বের হতে পারি না। নিজেদের ক্যাম্পাসে আমরা সেফটি পাই না। বিষয়টি বার বার প্রশাসনকে বললেও কাজ হয়নি। নিরাপত্তাকর্মীরা ঠিক সময়ে আসে না, ডিউটির সময়ে তারা থাকে না।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মজিদ বলেন, বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ ও ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার রাস্তায় মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা আমরা তাদের দাবীর বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে তারা কলেজে ফিরে যায়।
এ বিষয়ে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস মোহাম্মদ খায়রুল আতাতুর্ক জানান, প্রায়শই বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে। তারা বেপরোয়া মোটর সাইকেল চালিয়ে ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট করে। গতকাল রাতে বহিরাগত বাইক আরোহীদের সাথে আমার চিকিৎসকদের ক্যাম্পাসে গন্ডগোল হয়েছে। মেয়েরা রাতে ডিউটি করে ফেরার সময় ইভটিজিং এর শিকার হয়। পুলিশ সদস্যরা কলেজের রুমে থাকে। আমাদের নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যাও কম। বিষয়টি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।