শাহিন রেজা: সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পৌর এলাকার মুজিব সড়ক পামতলা মোড়ের বাসিন্দা মজিবর রহমান (৮৫) ও তার স্ত্রী রহিমা পারভিন (৬৫) । নিজ বাসার ছাদে গড়ে তুলেছেন ছাদ বাগান। সবজি, ফলদ ও বিভিন্ন বাহারি ফুলগাছসহ নানা প্রজাতির গাছ রয়েছে তাদের ছাদ বাগানে।
মজিবর রহমান পেশায় ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজির ২০০১সালে তিনি চাকরি থেকে অবসরে এসে তার নতুন বাসার ছাদে শুরু করেন ছাদ কৃষি।চাকরি থেকে অবসরে আসায় তার বেশিরভাগ সময় কাটে ছাদ কৃষিতে। পাশাপাশি গাছের পরিচর্যায় সহযোগীতা করেন তার স্ত্রী রহিমা পারভিনও।
বাড়ির ছাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও একই সাথে লাভবান হওয়ার জন্য ছাদে বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি ও ফলের গাছ লাগান তারা। সঠিকভাবে যত্ন ও পরিচর্যা করায় তাদের চাষ করা শাক-সবজি ও ফলের গাছ থেকে ফলন পেতে শুরু করেন তারা। বর্তমানে তাদের ছাদে উৎপাদিত ফসল নিজেদের ৮০% চাহিদা মিটেয়ে দিচ্ছে।
প্রথমে তাদের ১৬০০ স্কয়ার ফিট ছাদে ৩হাজার টাকার গাছ দিয়ে শুরু করেন ছাদ বাগান ।এখন তাদের বাগানে ৮-১০জাতের ফল,১০-১৫ জাতের সবজিসহ রয়েছে বিভিন্ন বাহারি প্রজাতির ফুলের গাছ।যেগুলো ছাদ বাগানকে আরো বেশি সুন্দর্যের রুপ দিয়েছে।বর্তমানে তার বাগানে ২০-৩০হাজার টাকার গাছ রয়েছে। ছাদজুড়েই রয়েছে কয়েক প্রজাতির আম,লিচু, পেয়ারা লেবু,কমলা, কলা, পেপে,ড্রাগন ফলের গাছসহ হরেকরকমের সবজি ও ফুলের গাছ।এছাড়াও বাসার ব্যালকনিতে রয়েছে টুনিমানকুনি, অ্যালোভেরা, রাসুন্ডার মতো ঔষধি গাছসহ সন্দর্যবর্ধনের জন্য রাখা হয়েছে বিভিন্ন পাতা বাহার গাছ। বাড়ির ছাদে উৎপাদিত এসব সবজি ও নানা ধরনের ফুল-ফল দেখে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন ছাদ কৃষিতে।
ছাদ বাগানের উদ্যোক্তা মজিবর রহমান বলেন,আমি ছাদে জৈব সার ছাড়া কিছুই ব্যবহার করছি না। ছাদ কৃষির মাধ্যমে আমরা সহজেই নিজেদের দোরগোড়ায় ভেজালমুক্ত খাদ্য পাচ্ছি। ফলে আমার কোনো ফলমুল, শাক-সবজি আর বাজার থেকে তেমন কিনতে হয় না। এখানে দেশী বিদেশী বহু প্রজাতির ফলমূল ও সবজির চারা রয়েছে। জীবনের জন্য নিরাপদ ও বিষযুক্ত ফলমূল খাওয়াই তার ছাদ বাগানের প্রধান লক্ষ্য বলে ও জানান তিনি।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকতা কৃষিবিদ আনোয়ার সাদা’ত বলেন সবুজ বনায়নে বিপ্লব ঘটাতে ছাদ কৃষির অনেক গুরুত্ব রয়েছে। ছাদ কৃষি করতে আমরা মানুষকে পর্রামর্শ দিচ্ছি।এছাড়াও ছাদ কৃষিতে যে কোন সমস্যা আমাদের জানালে আমরা সহায়তা করবো।