সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া উত্তর (রনতিথা)মহল্লায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রাণ নাশের হুমকি ও মারধরের করেছে প্রতিপক্ষ।
এবিষয়ে উপজেলার পৌরসভার এলাকার আমির চান(৫৯) বাদী হয়ে রায়গঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন বিবাদি বোরহান উদ্দিন গংদের বিরুদ্ধে।
লিখিত এজাহার আমির চান অভিযোগ করেন,
জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসলে গত ১০ আগষ্ট বৃহস্পতিবার বেলা ২ টার দিকে বিবাদীরা পূর্ব
পরিকল্পিত ভাবে পরস্পর যোগ সাজশে বেআইনি জনতায় দলবদ্ধ হইয়া তাহাদের হাতে চাপাতি,দা,লোহার রড,বাঁশের লাঠি,কাঠের বাটাম ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া রায়গঞ্জ থানার পৌরসভার ধানগড়া বাজারস্থ আমার ছেলে শামীম এর দোকানে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর চালায় এবং আমার ছেলেকে কুপিয়ে জখম করে। ওই আঘাতে সে রক্তাক্ত জখম হয়। আসামীরা আমার ছেলের দোকানের বিভিন্ন ধরনের ফলমুল ও ওজন পরিমাপক মিটার ভাংচুর করে প্রায় ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি করে। দোকানের ক্যাশ বাক্সে থাকা প্রায় ৩০ হাজার টাকা ও ১৭ হাজার টাকা দামের স্মার্ট ফোন ছিনিয়ে নেয়। আমার ছেলের ডাক-চিৎকারে বাজারের অনেকেই এগিয়ে এলে আসামীরা জীবননাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
এঘটনায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন আমির চাঁন।
অভিযুক্তরা হলেন-উপজেলার পৌরসভার ধানগড়া উত্তর (রনতিথা) মহল্লার মৃতঃ আবু সাইদ তালুকদারের ছেলে পৌর যুবদলের আহ্বায়ক বোরহান উদ্দিন (৫০), পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান মিরন (৫৫), মাজদার হোসেন (৬৫), মীরনের ছেলে রিমেল (২০), একই মহল্লার মৃতঃ নুরনবী সরকারের ছেলে তমাল সরকার (৩৮)সহ অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জন ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার বাদী আমির চাঁন বলেন, জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধের জেরে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে মারধর ও হুমকি দিয়ে আসছেন বোরহান উদ্দিন গংরা। তারা ক্ষমতাশীল হওয়ায় আমরা কিছুই বলতে পারিনা। কয়েক দিন আগে আমার ছেলেকে মেরে রক্তাক্ত করেছে আমি এর সঠিক বিচার চাই।
মামলার বাদীর ছেলে শামীম তালুকদার জানান; আমি দোকানে বেচাকেনা করিতেছি সেই সময় ১০ থেকে ১৫টি মোটরসাইকেল এসে দোকানের সামনে দাড়ায়। মোটরসাইকেল থেকে নেমে এসে বোরহান উদ্দিন ও রিমেল আমার দোকানে ভাংচুর করে এবং আমাকে মারধর করে টাকা ও স্মার্ট মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমি চিৎকার করলে বাজারের অনেকেই আগাইয়া আসিলে জীবন নাশের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনা স্থল থেকে দ্রুত চলিয়া যায়।
এ বিষয় জানতে চাইলে অভিযুক্ত বোরহান উদ্দিন বলেন, এ অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই, এ গুলো সব মিথ্যা আভিযোগ। মামলা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে করতেই পারে।আমার বড় ভাই বীরমুক্তিযোদ্ধার বাড়ীতে হামলা করেছে তারা। তাদের ভয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সবাই এখন বাড়ী ছাড়া ।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ থানার তদন্তকারী অফিসার এস আই জাকারিয়া খাঁন বলেন ; ফৌজদারী মামলাটি তদন্ত চলতেছে, তদন্ত সাপেক্ষে বিজ্ঞ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।