যুগের কথা প্রতিবেদক: সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় মাজেদা খাতুন(৬০) ও রোজিনা খাতুন (৫৫) নামের দুই নারী গুরুতরভাবে আহত হয়েছে। এরমধ্য মুমূর্ষু অবস্থায় মাজেদা খাতুনকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (১১মে) সকাল ৬টার দিকে সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামে।
অভিযোগে জানাযায়,সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের শাহাদত হোসেন বিগত ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক খান ওরফে কামরুজ্জামান খানের নিকট থেকে ১৩ শতক জায়গা ক্রয় করে সলঙ্গা সাবরেজিষ্ট্রী অফিসের মাধ্যমে দলিল করে নেন এবং ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারিতে তিনি সেই জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কিন্তু ওই জায়গাটি মালিকের নিকট থেকে কিনতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে একই গ্রামের বাসিন্দা ও হাটিকুমরুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মহাব্বত আলী শামীম (৪৫)
তাদের নির্মাণ কাজে বাঁধা দেন এবং ওই জায়গা থেকে জোরপুর্বক ৩লাখ টাকার মাটি কেটে নিয়ে যান। এমনকি ওই জায়গা গ্রাস করার জন্য মহাব্বত আলী শামীম মেম্বর বগুড়ার মহাস্থান ও শাহজাদপুরের গাড়াদহ এলাকার বাসিন্দা সিরাজগঞ্জ রোড এলাকায় ভাসমানভাবে অবস্থানকারী ২ নারীকে ভাড়া করে শাহাদত হোসেনের নামে পৃথক পৃথকভাবে দুটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করান,যা পরবর্তীতে মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় আদালত থেকে খারিজ হয়ে যায়। এতেও শাহাদত হোসেনকে পরাস্ত করতে না পেরে পরবর্তীতে তিনি শাহাদত হোসেন এর ছেলে মাসুদ রানার বিরুদ্ধে হয়রানীমুলকভাবে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। কিন্তু সে মামলাটিও মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় তা আদালত কর্তৃক খারিজ হয়ে যায়। এরই একপর্যায়ে শাহাদত হোসেন তার ওই ক্রয়কৃত জায়গায় ঘর তুললে শনিবার(১১মে) ভোর ৬টার দিকে সাবেক ইউপি সদস্য মহাব্বত আলী শামীমের নেতৃত্বে ফিরোজ সেখ(৩৫), আবুল কালাম(৪৫), আব্দুস সালাম(৫৫),সবুজ আলী(২৬), মোখলেছ সেখ(৫০),নার্গিস খাতুন (৫০) ও ননী খাতুন(৩২) দলবদ্ধ হয়ে ওই জায়গার উপর স্থাপিত ঘর ভেঙ্গে দেয়। এসময় জায়গার মালিক শাহাদত হোসেনসহ তার লোকজন বাঁধা প্রদান করায় মহাব্বত আলী শামীম মেম্বরসহ ফিরোজ সেখ, আবুল কালাম,আব্দুস সালাম,সবুজ আলী,মোখলেছ সেখ,নার্গিস খাতুন, ও ননী খাতুন তাদের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালায় ও মারপিট করে। এতে তাদের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে শাহাদত হোসেনের বোন মাজেদা খাতুন(৬০) ও তার স্ত্রী রোজিনা(৫৫) খাতুন রক্তাক্ত জখম হয়। এসময় তাদের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আহত মাজেদা খাতুনকে মুমূর্ষু অবস্থায় সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত মাজেদা খাতুনের মাথায় ৬টি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জানিয়েছেন। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে প্রতিপক্ষ শামীম মেম্বর ও তার লোকজনের শাহাদত হোসেন ও তার পরিবারের লোকজনকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি প্রদর্শন করছে। এতে শাহাদাত হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন চরমভাবে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। ফলে নিরাপত্তাহীন পরিবারটি তাদের জীবনের নিরাপত্তাসহ এসংক্রান্ত বিষয়ে ন্যায় বিচার দাবি করে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।