ঢাকারবিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আবহাওয়া
  3. আমাদের পরিবার
  4. আর্ন্তজাতিক
  5. ইসলামী জীবন
  6. এনায়েতপুর
  7. কক্সবাজার
  8. করোনা আপডেট
  9. খেলাধুলা
  10. চাকরি-বাকরি
  11. জাতীয়
  12. নাগরিক সংবাদ
  13. পাঁচমিশালি
  14. বরিশাল বিভাগ
  15. বাংলাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কামারখন্দে প্রকল্প বাড়ানোর নামে অর্থ আদায়

রাইসুল ইসলাম রিপন, কামারখন্দ প্রতিনিধি
অক্টোবর ৬, ২০২৪ ২:২২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে প্রকল্প বাড়ানোর খরচের নামে শিখন শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে শিখন শিক্ষা কেন্দ্র পরিচালনা করা এনজিও এসো দেশ গড়ির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। শিক্ষা কেন্দ্রের ঘর ভাড়ার আংশিক টাকাও কেটে নেওয়ার অভিযোগ করেন শিক্ষকরা। এছাড়াও গত ৯ মাস ধরে শিক্ষকদের মাসিক সম্মানী ও ঘর ভাড়া বকেয়া রয়েছে। এতে করে সঠিকভাবে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
জানা যায়,উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বুরো পিইডিপি-৪, সাব কম্পোনেন্ট ২ দশমিক ৫ এর আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রামের আওতায় কামারখন্দ উপজেলায় ৫৯টি শিখন শিক্ষা কেন্দ্র পরিচালনা করছে এসো দেশ গড়ি নামে একটি বেসরকারি সংস্থা। এসব শিক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থী রয়েছে ১ হাজার ৪৩ জন। আর তদারকির দায়িত্ব পালন করছে সেফ দ্য কান্ট্রি নামে আরেকটি বেসরকারি সংস্থা। তাদের সঠিক তদারকির অভাবে বেসরকারি সংস্থা এসো দেশ গড়ির কর্মকর্তা নানা অনিয়মের সুযোগ পাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষকরা। ৫৯টি শিক্ষা কেন্দ্রে প্রোগ্রামের শুরুর পর থেকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নানা বঞ্চিত করার অভিযোগ ওঠে এসো দেশ গড়ির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
বড়কুড়া শিখন শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষিকা রোমিনা বেগম জানান, শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল ড্রেস, শিক্ষা সরঞ্জাম ঠিকঠাক বিতরণ করে না এসো দেশ গড়ির কর্মকর্তারা। এতে খুব কষ্টে স্কুল পরিচালনা করতে হয়।
কোনাবাড়ী শিখন শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষিকা সাথী খাতুন জানান, গত দুই ঈদে ১০ হাজার টাকা ঈদ বোনাস দেওয়া হলেও প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর খরচের কথা বলে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজাররা প্রতি শিক্ষকের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে নেন। এদিকে গত জানুয়ারির পর থেকে এখনো কোন বেতন ও ঘর ভাড়া পায়নি। খুব কষ্টে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে হচ্ছে।
বড়পাকুরিয়া শিখন শিক্ষা কেন্দ্র-২ এর শিক্ষিকা শামসুন্নাহার জানান, বড়পাকুরিয়া গ্রামে দুইটি শিখন শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। যার একটিতে আমি ও অপরটিতে আমার পুত্রবধূ শিক্ষকতা করে আসছে। গত নয় মাস হলো আমাদের মাসিক সম্মানী ও ঘরভাড়া পাচ্ছি না। গত বছর এসো দেশ গড়ি এনজিও নিয়মিত মাসিক সম্মানী ও ঘর ভাড়া প্রদান করেছে। সেসময় মোবাইলে মাসিক ঘরভাড়া ১ হাজার ২৩০ টাকা আসলে টাকা তোলার সঙ্গে সঙ্গে একটি ঘরের ৬০০ ও অপর ঘরের ভাড়া ৫০০ টাকা দিয়ে বাদ বাকি টাকা ফেরত নেন এনজিওর সুপারভাইজার।
কামারখন্দ উপজেলায় শিখন শিক্ষা কেন্দ্র পরিচালনা করা বেসরকারি সংস্থা এসো দেশ গড়ির সুপারভাইজার আল আমিন জানান, প্রকল্প বাড়াতে খরচ হবে বলে ২০২৩ সালের ঈদে শিক্ষকদের ঈদ বোনাসের ৫ হাজার টাকা নেওয়ার নির্দেশ দেন তৎকালীন উপজেলা ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে থাকা রবিউল ইসলাম। তিনি এসো দেশ গড়ির নির্বাহী পরিচালকের আপন সহোদর। রবিউল ইসলামের নির্দেশে আমরা চারজন সুপারভাইজার টাকা তুলে তার কাছে দেয়। ঘর ভাড়া কেটে রাখার ব্যাপারে আল আমিন জানান, প্রতি ঘরের ভাড়া ১ হাজার ২৩০ টাকা হলেও ঘরের ওপর নির্ভর করে ৫০০ থেকে ১ হাজার দেওয়া হয় এবং অবশিষ্ট টাকা আমাদের প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেই।
শিখন শিক্ষা কেন্দ্র তদারকির দায়িত্বে থাকা সেফ দ্য কান্ট্রির পরিচালক খলিলুজ্জামান সিহাব জানান, আমাদের কর্মীরা নিয়মিত শিক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করলেও তাদের কাছে অনিয়মের ব্যাপারে কিছু জানায়নি শিক্ষকরা। সম্প্রতি একটি শিক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ চলাকালে এসো দেশ গড়ির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন শিক্ষকরা। এসব অভিযোগ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।
এ ব্যাপারে এসো দেশ গড়ির নির্বাহী পরিচালক তরিকুল ইসলামের সঙ্গে তার মুুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা জানান, শিখন শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকদের কাছ থেকে অর্থ আদায় ও ঘর ভাড়া কেটে নেওয়ার ব্যাপারে এসো দেশ গড়ির কর্মকর্তাদের ডাকা হয়েছিল। তারা এ মাসের মধ্যে এসব সহ সব সব বকেয়া পরিশোধ করবে বলে জানিয়েছেন। শিক্ষকদের টাকা ফেরত না দিলে এসো দেশ গড়ির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।