যুগের কথা প্রতিবেদক: সিরাজগঞ্জে ‘ল্যাপ্রা বাংলাদেশ’ নামে একটি বিদেশি সংস্থার উদ্যোগে কুষ্ঠ রোগ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২২জানুয়ারি) সকাল ১০টায় সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস কার্যালয়ের হলরুমে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন, ডাক্তার মো: নুরুল আমীন।
তিনি বলেন, কুষ্ঠ রোগ এটি প্রাচীন একটি রোগ। কুষ্ঠ রোগ বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়। তবে রোগী চিকিৎসার আওতায় এলে জীবাণু ছড়ায় না। চিকিৎসা নিতে দেরি হলে রোগীর হাত-পা-চোখসহ বিভিন্ন স্থানে বিকলাঙ্গতা দেখা দেয়। সিরাজগঞ্জে ২০২৩ সালে কুষ্ঠ রোগী ছিলো ১১জন, ২০২৪ সালে ৬জন, বর্তামনে আছে ৫জন, যার মধ্যে ৪জন মেয়ে একজন ছেলে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে ফিরেছে ১২জন। বর্তমানে চিকিৎসার মাধ্যমে জটিল এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
এ সময় কুষ্ঠ রোগের লক্ষণ ও প্রতিকারের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন ‘ল্যাপ্রা বাংলাদেশের’ প্রোজেক্ট ম্যানেজার টমাস সিংহ।
তিনি বলেন, চিকিৎসায় কুষ্ঠ রোগ শতভাগ ভালো হয়। এটা এখনো সামাজের মানুষের জন্য আতংক। সমাজে কুসংস্কার রয়েছে, এ রোগ ভালো হয়না। এ রোগ হলে সমাজে কেউ প্রকাশ করতে চায়না। বিশেষ করে নারীরা এ রোগ একেবারেই প্রকাশ করতে চায় না। এতেকরে এ-রোগে আক্রান্ত অনেক রোগী দীর্ঘ সময় পর প্রতিবন্ধীকতার শিকার হন। তাই সমাজ থেকে এ কুসংস্কার দূর করতে হবে। পাশাপাশি এ-রোগের বিষয়ে মানুষের মাঝে আরও সচেতনতা বাড়াতে হবে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার জুলিয়া আক্তার, সিরাজগঞ্জ সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান খান, শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডার্মাটোলজিস্ট ডাক্তার শামসুল হুদা সাগর, ডিএসএম ও ডাক্তার এস এম সাজেদুর রহমান, প্রোগ্রাম অর্গানাইজার, মো: হাসান আল মামুন।
এ রোগ সম্পর্কে ডার্মাটোলজিস্ট বলেন, কুষ্ঠরোগ বংশগত নয়, এটি মৃদু সংক্রামক রোগ। ১০০ জন রোগীর মধ্যে ২০ জন রোগী সংক্রামক। কুষ্ঠ রোগ বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়। তবে যাদের শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে তাদের হয়না। এ রোগ হলে অনুভূতিহীন হালকা ফ্যাকাসে অথবা সাদাটে দাগ, চামড়ায় গুটি বা দানা, কানের লতি মোটা হওয়া- এসব রোগের প্রাথমিক লক্ষণ।