যুগের কথা প্রতিবেদক: উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজাদ হোসেনকে হাতুড়ি পেটা ঘটনায় জামায়াত ইসলাম ও শিবিরের সাথে কোন সম্পর্ক নেই বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলন করেছে।
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২০৫ইং, বিকেলে তারিখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আমীর লিখিত বক্তব্যে বলেন, উল্লাপাড়া উপজেলায় সংঘটিত ঘটনা অরাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত।
এঘটনার সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কোন সম্পর্ক নাই। বরং বিএনপির দায়ের করা মামলায় যারেকে আসামী করা হয়েছে তাদের অধিকাংশ আসামীই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। এমন সুস্পষ্ট ঘটনাকে জামায়াতের উপর চাপানো উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ও অনভিপ্রেত এবং ৫ আগষ্ট বিপ্লবের পর নিজেদের কৃতকর্ম ঢাকার জন্য রাজনৈতিকভাবে ঘটনাকে ব্যবহার করা হচ্ছে।তিনি আরো বলেন, উল্লাপাড়া উপজেলায় ১৭ ও ১৮ এপ্রিল একটি অনাকাংখিত, অরাজনৈতিক বিষয়কে নিয়ে রাজনৈতিক রুপ দিয়ে শান্ত পরিবেশকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে। ১৭ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উল্লাপাড়া পৌর বাস টার্মিনালে ইজারা গ্রহিতা ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজাদহোসেন এর সাথে চাঁদা উত্তোলন এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইজারা গ্রহিতা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি হাফিজুল ও তার সাথে থাকা ৫/৬জনকে বেদম প্রহার করে আজাদ হোসেন ও তার সঙ্গীরা। সেনাবাহিনীল হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত। পরদিন শুক্রবার জুমার নামাজ পর রামকান্তপুর গ্রামবাসীল বিভিন্ন মতের জনগণ এঘটনার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে আজাদা হোসেনের উপর আক্রমণ করে আহত করে।তিনি আরোও বলেন, আমাকে জানানোর হল, জামায়াতের একজন কর্মী হাফিজুল ঘটনার সাথে জড়িত আছে। ঘটনার জানার পর আমি নিজে উল্লাপাড়া সেনা ক্যাম্পে গিয়ে উক্ত কর্মীকে আইনের হাতে সোর্পদ করি। যা বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে বিরল ঘটনা। উল্লাপাড়া ঘটনা ছিল ব্যক্তিগত ব্যবসা ও চাঁদাবাজি সংশ্লিষ্ট। সুতরাং আমরা রাজনৈতিক রুপ দেই। প্রথমে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, দু®কৃতিকারকরা ঘটনার সাথে জড়িত। কিন্তু কিছুক্ষণ পর উক্ত ঘটনাকে রাজনৈতিক রুপ দিয়ে জামায়াতের উপর দায় চাপানো হয়। এরপরই বিএনপির উল্লাপাড়ায় দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছে। বাঙ্গালা ইউনিয়ন জামায়অতের সভাপতি মাওলানা আমিনুল ইসলাম সহ ৮/১০জন জামায়অত কর্মীকে মারাত্মকভাবে আহত করে। বড়হর ইউনিয়নের ২টি অফিসন ভাংচুর করে। জেলা শহরে ছাত্রদলের ব্যানারে মিছিল থেকে ধর ধর শিবির ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর, শ্লোগান দেওয়া হয়। যা ফৌজদারী অপরাধের শামিল। ২০এপ্রিলে জেলা বিএনপির সমাবেশ ও স্মারকলিীপ প্রদানের অনুষ্ঠান থেকে উত্তেজনা ছড়ানোর চেস্টা করা হয়। যা কারো জন্যই শুভ হবে না বরং ফ্যাসিবাদের দোসরদের উৎসাহিত করবে।
আমরা এ ধরনের উদ্দেশ্যে প্রণোদিত রাজনৈতিক কর্মী থেকে বিরত থাকার জন্য আহবান জানাচ্ছি।সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুস সালাম, সেক্রেটারী মাওলানা অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, সহকারি সেক্রেটারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, শহর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল লতিফ, উল্লাপাড়া জামায়াতের আমীর অধ্যাপক শাহজাহান আলী, ইসলামী ছাত্র শিবিবের সভাপতি আলহাজ্ব আলী, শহর শিবিরের সভাপতি শামীম রেজা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।