কক্সবাজারের টেকনাফ মেরিনড্রাইভে সেনাবাহিনীর মেজর (অবঃ) সিনহা পুলিশের হাতে নিহত হওয়ার ঘটনায় টেকনাফ থানার বিতর্কিত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৭ আসামী আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওসি প্রদীপসহ ৩ জনকে ৭দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
আজ বিকেলে কড়া পুলিশ ও র্যাব নিরাপত্তা বেস্টনীতে ৭ আসামীকে টেকনাফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আদালত নং-৩) আদালতের চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেলাল উদ্দীনের আদালতে হাজির করা হয়।
আত্মসমর্পণকৃত আসামীরা হলেন- (১) টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস (২) বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলী, (৩) এসআই নন্দলাল রক্ষিত, (৪) কনস্টেবল সাফানুর করিম, (৫) কনস্টেবল কামাল হোসেন, (৬) কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল মামুন, (৭) এএসআই লিটন মিয়া।
আসামীদের পক্ষে এডভোকেট রাখাল চন্দ্র ও এডভোকেট মো. জাকারিয়া মামলার জামিন আবেদনের শুনানি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জানান, এসআই টুটুল ও কনেস্টেবল মোস্তফা কামাল নামের কোন পুলিশ সদস্য কক্সবাজার পুলিশ লাইনে নেই। সুতরাং হাজির হবে কি ভাবে।
মামলার শুনানী চলাকালীন রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক ব্প্রসিকিউটর ফরিদুল আলম, সহকারী পাবলিক ব্প্রসিকিউটর সাঈদ হোসাইন ও কোর্ট ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার দাশ আদালতে উপিস্থিত ছিলেন। এছাড়া ঘটনায় রাষ্ট্রীয় উচ্চপর্যায়ের গঠিত তদন্ত টিম ও মামলা তদন্তকারী র্যাব-১৫ একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
মামলা তদন্তকারী সংস্থা র্যাব-১৫ পক্ষ থেকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস, বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দলাল রক্ষিতকে ৭দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাকী আসামীদের কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মোস্তফা।
গত ৫আগষ্ট মেজর (অবঃ) সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার বাদী হয়ে ৯জনকে আসামী করে টেকনাফ সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালত মামলার শুনানী শেষে টেকনাফ থানাকে একটি নিয়মিত হত্যা মামলা হিসেবে রুজু করার আদেশ দেন। যার মামলা নং (সিআর- ৯৪/২০২০), টেকনাফ থানা (জিআর নং- ৯/২০২০) টেকনাফ থানা মামলাটি গ্রহর করার সাথে সাথেই আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা কার্যকর হয়।
এদিকে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএমএস দোহা জানান, আজ সকালে টেকনাফ থানা থেকে যাবতীয় কাজ শেষ করে মামলাটি আদালতের নির্দেশ মতো কক্সবাজার (র্যাব -১৫) বরাবরে তদন্তের জন্য প্রেরন করা হয়। রয়াব সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবেন।