যুগের কথা প্রতিবেদক: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় দিন দিন বেড়েই চলেছে অবৈধভাবে পুকুর খনন।গত কয়েক মাস ধরে এই উপজেলায় প্রায় আড়াইশ থেকে তিনশ বিঘা জমিতে হয়েছে অবৈধ পুকুর খনন আবাদি জমির এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে তাকালেই শুধু পুকুর আর পুকুর।
এলাকাবাসী মৌখিকভাবে প্রশাসনকে অবহিত করলে প্রশাসন নিচ্ছে না কোন ব্যবস্থা। এভাবে চলতে থাকলে একসময় আবাদি জমির চরম সংকটের মধ্যে পড়বে। এভাবেই আক্ষেপ জানান ভুক্তভোগীরা।
সরজমিনে রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুরে গিয়ে দেখা গেছে ফসলী মাঠ জুড়ে এসকেভেটর দিয়ে রিতিমত পুকুর খননের উৎসবে মেতেছে এক শ্রেণীর ভুমিদস্যুরা। তিনটি ফসলি জমি প্রায় বিশ বিগাতে চলছে পুকুর খনন।কেউ খনন করছেন নিজের জমিতে আবার কেউ খনন করছেন অন্যের জমি চুক্তির ভিত্তিতে লিজ নিয়ে। দিন রাত সমান তালেই চলছে পুকুর খনন।
শ্রীরামপুরে অবৈধ পুকুর খননে খননকারী মোস্তাক আহম্মেদ বলেন,আমি জমির মালিকের কাছে থেকে লিজ নিয়ে পুকুর খনন করছি।পুকুর খননের জন্য প্রশাসন থেকে শুরু করে সকল কিছু ম্যানেজ করেই পুকুর খনন করি।
এদিকে পুকুরের মাটি আনা নেওয়ার কাজে নিয়োজিত ট্রাক্টরগুলো শ্রীরামপুর থেকে নিমগাছি হয়ে ভুইয়াগাঁতীর স্টার ভাটায় চলাচলের ফলে বিস্তীর্ণ ফসলির জমি নষ্ট হচ্ছে এবং রাস্তার ক্ষয়ক্ষতি ও রাস্তায় মানুষের যাতায়াতের ব্যাপক সমস্যা সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রউফ জানান, অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খননের মাত্রী বাড়তে থাকলে চরম ভাবে কৃষি জমির উপর প্রভাব পড়বে। এতে কৃষি জমি সংকটে পড়বে। তবে ইতোমধ্যে অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে জেল জরিমানাও করেছেন।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৃপ্তি কণা মন্ডল বলেন, অবৈধভাবে পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান সব সময়ই চলমান রয়েছে। পুকুর খননের তথ্য পেলে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জেল জরিমানাও করা হচ্ছে। শ্রীরামপুরে বৃহৎ আকারের পুকুর খননের বিষয়টি আমার জানা ছিলো না।সেখানে আবাদি জমিতে পুকুর খনন হয়ে থাকলে অবশ্যয় সেগুলো বন্ধ করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।