যুগের কথা প্রতিবেদক: সকাল ৭ থেকে ৯টার মধ্য নিয়োগের সকল কার্যক্রম শেষ করে ৩০লাখ টাকা ভাগবাটোয়ারা করে সটকে পড়লেন নিয়োগ কমিটির সভাপতি গাজী আব্দুর রহমান, সদস্য সচিব প্রধান শিক্ষক এনামুল হক, ডিজি প্রতিনিধি বিএল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম, রায়গঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম।
ঘটনাটি ঘটেছে (৮ জুলাই ২০২৩) সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার তিননান্দিনা রশিদিয়া দিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে। গত ১০ জুন ২০২৩ইং তারিখে ৩০লাখ টাকা নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগে স্থানীয়দের তোপের মুখে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ করেছিলেন সভাপতি গাজী আব্দুর রহমান, সদস্য সচিব প্রধান শিক্ষক এনামুল হক, ডিজি প্রতিনিধি বিএল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম, রায়গঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম।
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ৮জুলাই ২০২৩ইং তারিখে নৈশপহরী, আয়া ও পরীচ্ছন্নতাকর্মী পদে ৩জন করে প্রক্সি প্রার্থীদের ডেকে এনে সকাল ৭টায় খাতা ও প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা শুরু করে সভাপতি গাজী আব্দুর রহমান ও প্রধান শিক্ষক এনামুল হক। ৮টার দিকে ডিজি প্রতিনিধি বিএল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম, রায়গঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বিদ্যালয়ে আসেন। বিদ্যালয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম এসেই উত্তরপত্র দেখতে থাকেন, অপরদিকে ডিজি প্রতিনিধি বিএল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম ভাইভা নিতে থাকেন। ভাইভা শেষ হওয়ার সাথে সাথে রেজাল্ট শিট করে নিয়োগ কমিটি সকলের স্বাক্ষর নিয়ে তড়িঘরি করে বিদ্যালয় তালা মেরে ৩০ লাখ টাকা বাগবাটোয়ারা সকাল ৯টার দিকে সটকে পড়েন নিয়োগ কমিটির সকল সদস্যরা।
স্থানীয় মুরুব্বি আব্দুর রহমান নামক এক ব্যক্তি জানান ফজরের নামাজ পরই এনামুল মাষ্টার বিদ্যালয় খুলেছে, বিদ্যালয়ের ভিতরে কি করছে, তা বলতে পারব না।
অপর এক ব্যক্তি জানান, প্রবেশপত্রে নিয়োগ পরীক্ষা সময়সূচি ১০টা থাকলেও সকাল ৭টা নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করা হয়েছে। সকাল ৯টার দিকে সকলেই চলে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, নৈশপহরী,আয়া ও পরীচ্ছন্নতাকর্মী পদে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি পছন্দের প্রার্থী হাফিজুল সহ আরো ২টি প্রার্থীর কাছ থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা নিয়েছেন। তবে সভাপতি, ডিজি প্রতিনিধি, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষকের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় ৩টি পদের বিপরীতে কাকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে তার নাম পাওয়া যায়নি।
সকাল সাড়ে ৯টায় বিদ্যালয়ে এপ্রতিবেদক উপস্থিত হলে বিদ্যালয় তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। তবে নিয়োগ কমিটির সভাপতি গাজী আব্দুর রহমান, সদস্য সচিব প্রধান শিক্ষক এনামুল হক, ডিজি প্রতিনিধি বিএল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম, রায়গঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম এর মোবাইল বন্ধ থাকায় নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য ও তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের উপর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সময় উল্লেখ্য সহ নিয়োগ কমিটির সভাপতি গাজী আব্দুর রহমান, সদস্য সচিব প্রধান শিক্ষক এনামুল হক, ডিজি প্রতিনিধি বিএল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম, রায়গঞ্জ উপজেলস শিক্ষা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম এর ভিডিও আমাদের কাছে আছে। ভিডিও সহকারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বরাবর নিয়োগ কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হবে